Sunday, May 27, 2018

আরবের মাটি ও সিলেটের মাটির মিল-হযরত শাহজালাল(র:) এর আগমন।

হযরত শাহজালাল(র:) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। তিনি ছিলেন ওলিকুল শিরোমণি। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বুরহান উদ্দিনের ওপর রাজা গৌর গোবিন্দের অত্যাচার এবং এর প্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল(র:) ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ কারণে সিলেটকে  ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। কেউ কেউ সিলেটকে পূণ্যভূমি অভিধায়ও অভিহিত করেন।
             
আরবের মাটি ও সিলেটের মাটির মিল
কথিত আছে, প্রাচ্য দেশে আসার পূর্বে শাহজালাল(র:) এর মামা মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবীর (রঃ) তাকে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেন, স্বাদে বর্ণে গন্ধে এই মাটির মতো মাটি যেখানে পাবে সেখানে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচার করবে।’ 
হযরত শাহজালাল(র:) বিশিষ্ট শিষ্য শেখ আলীকে এই মাটির দায়িত্বে নিয়োগ করেন এবং নির্দেশ দেন যে, যাত্রা পথে বিভিন্ন জনপদের মাটির সাথে যেন এই জনপদের মাটির তুলনা করে তিনি দেখেন। পরে এই শিষ্যের উপাধি হয় চাষণী পীর। সিলেট শহরের গোয়াইপাড়ায় তার মাজার বিদ্যমান।
সিলেটের মাটির সাথে আরবের মাটির মিল পাওয়ায়
হযরত শাহজালাল(র:) সিলেটে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। সিলেটে তেল ও গ্যাস পাওয়ায় আরবের মাটি ও সিলেটের  মাটির মিল প্রমাণিত হয়েছে।
কিভাবে যাওয়া যায়: 
সিলেট রেল স্টেশন অথবা কদমতলী বাস স্ট্যান্ড এ নেমে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশাযোগে মাজারে যাওয়া যায়। রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা, সিএনজি ভাড়া ৮০-১০০ টাকা।সুরমা নদী পার হয়ে মূল শহরে এসে মাজার এ পৌছাতে হয়। মাজার গেট রোড এ অনেকগুলো আবাসিক হোটেল রয়েছে এর মধ্যে আপনি বেচে নিতে পারেন হোটেল অর্কিড গার্ডেন আধুনিক সাজে সজ্জিত সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হোটেল, পূর্ব দর্গাহ গেইট, সিলেট  

Friday, May 25, 2018

সিলেট ভ্রমণের যাবতীয় তথ্য-হোটেল অর্কিড গার্ডেন।

 সিলেট ভ্রমণের যাবতীয় তথ্য

ঢাকা থেকে দূরত্ব ২৪০ কি মি।ঢাকা থেকে সিলেট এর উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে৷বাস গুলো সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় পরপর ছেড়ে যায়৷ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে সিলেটের বাসগুলো ছাড়ে। এ পথে গ্রীন লাইন পরিবহন, সৌদিয়া এস আলম পরিবহন, শ্যামলি পরিবহন ও এনা পরিবহনের এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’ টাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক সার্ভিস, এনা পরিবহনের পরিবহনের নন এসি বাস সিলেটে যায়। ভাড়া ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। এনা পরিবহনের বাসগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে টঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে সিলেট যায়।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ০৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ছাড়ে কালনী এক্সপ্রেস। ভাড়া দেড়শ থেকে ১ হাজার ১৮ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উদয়ন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১৪৫ থেকে ১ হাজার ১৯১ টাকা।ট্রেন এর টিকেট এর দাম: এসি বার্থ ৬৯৮ টাকা, এসি সিট ৪৬০ টাকা, ফার্স্ট ক্লাস বার্থ ৪২৫ টাকা, ফার্স্ট ক্লাস সিট ২৭০ টাকা. স্নিগ্ধা ৪৬০ টাকা, শোভন চেয়ার ১৮০ টাকা, শোভন ১৫০ টাকা, সুলভ ৯৫ টাকা।ট্রেনে গেলে রাত ৯.৫০ এর উপবন এক্সপ্রেসে জাওয়াটাই সব থেকে ভালো কারন আপনার যেতে যেতে সকাল হয়ে যাবে আর আপনি যদি রাতে ট্রেনে ঘুমিয়ে নিন তাহলে সকালে ট্রেন থেকে নেমেই আপনার ভ্রমন শুরু করতে পারেন আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা।

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ, ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান প্রতিদিন যায় সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অভ্যন্তরীণ রুট ঢাকা-সিলেট এর টিকেট মুল্য 
Super Saver: ৩২০০ টাকা 
Economy Saver:৩৭০০ টাকা 
Economy Flexible:৪২০০ টাকা 
Business Saver:৫৯০০ টাকা 
Business Flexible:৬৯০০ টাকা 

সিলেটে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে,সিলেটে আপনি আপনার প্রোয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন এর মধ্যে ভাল সার্ভিস প্রদান করার মত সুনামধন্য  হোটেল হল,
হোটেল  অর্কিড গার্ডেন-(০১৭১১৩৭১৯২১), ভি আইপি রোড, পূর্ব দর্গাগেইট। তবে ঈদের সময় সিট সংকট থাকতে পারে তাই যাওয়ার ৭ দিন আগে এডভান্স বুকিং দিলে ভালো হয়৷

খাওয়ার জন্য সিলেটের জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেল গুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানশি ও ভোজনবাড়ী । এগুলোতে প্রায় ২৯ প্রকারের ভর্তা আছে।

ঘোরাঘুরি
শহরের ভিতরে ঘুরতে হলে আছে রিক্সা ও সিএনজি অটো-রিক্সা৷ আর শহরের বাইরে যেতে চাইলে আম্বরখানা ও মদিনা মার্কেট এলাকায় তুলনামূলক কম টাকায় মাইক্রোবাস বা কার পাওয়া যায়৷

সিলেট বেড়ানোর জন্য যেতে পারেনঃ 
১.হজরত শাহ্জালাল রঃ এর মাজার২. হজরত শাহ্পরান রঃ এর মাজার ৩. সিলেট পর্যটন কর্পরেশ ৪.মালনীছড়া চা বাগান ৫.শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়

শহরের বাইরে ঘোরার জায়গা গুলো হলো- 
১.জাফলং. ২.মাধবকুন্ড (জলপ্রপাত)৩. জাফলং ৪. তামাবিল ৫. জৈন্তাপুর ৬.লালাখাল ৭. শ্রীমঙ্গল ৮.হাম হাম ৯.লাউয়াছেড়া রেইন ফরেস্ট ১০.মাধবপুর লেক ১১. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর সমাধি ১২.আদমপুর বন ১৩ ক্ষিতিশ বাবুর চিড়িয়াখানায় ১৪ শ্রীপুর (চা বাগান)১৫. ভোলাগঞ্জের১৬. রাতারগুল১৭. হাকালুকি ১৮. টাঙ্গুয়া হাওড়১৯. বিছানাকান্দি.২০। নীলাদ্রি, ২১. শিমুল বাগান ও অরও অনেক স্থান। 


শহরের ভিতরে অল্প দূরত্বের মাঝে জায়গা গুলো হলো-
কানিশাইল - নৌকা ভ্রমণের জন্য, ঘন্টা প্রতি ৭০ টাকা৷

কিন ব্রিজ - ১৯৩৬ সালে ইংলিশ গভর্নর মাইকেল কিন এর নামে লোহা ও স্টিল দিয়ে সুরমা নদীর উপর তৈরী হয়৷ ব্রিজ এর একপাশে আছে সিলেট রেল স্টেশন৷ একে সিলেটের প্রবেশ দ্বার ও বলা হয়৷

আলী আমজাদ খান এর ক্লক টাওয়ার - টাওয়ার টি কিন ব্রিজ এর এক পাশে অবস্থিত৷ এখান থেকে একটু সামনেই সুরমা নদীর পার এ আছে সুন্দর বসার জায়গা আর চটপটি র দোকান৷

শাহ জালাল দরগাহ - হজরত শাহ জালাল (রাঃ) এর দরগাহ শরিফ কমপ্লেক্স এ আছে নামাজ আদায় এর মসজিদ আর অজুখানা৷ রাত এ কেউ যদি মাজারেই থাকতে চায় সে ব্যবস্থাও আসে৷ মহিলাদের নামজের জন্য আলাদা জায়গা আছে৷ মাজারে দেয়ার জন্য হালুয়া, মোমবাতি, আগরবাতি বা যে কোনো কিছু মাজার গেট এ পাওয়া যায়৷ জালালী কবুতর ও গজার মাছ কে খাবার দিতে হলে ১০ টাকা দিয়ে ধান এর প্যাকেট ও ছোট মাছও কেনা যায়৷

শাহ পরান (রাঃ) দরগাহ - হজরত শাহ জালাল (রাঃ) এর দরগাহ থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত৷ শহর থেকে সিএনজি অটো-রিক্সা নিয়ে যেতে হবে৷ মাজার এর সামনের পুকুরে অজু করতে হবে৷ মেয়েদের নামাজের আলাদা জায়গা আছে৷ মাজার এ যাওয়ার সময় মনে কুচিন্তা থাকা যাবেনা এবং মাজার জিয়ারত করে নামার সময় পিঠ দেখিয়ে নামা যাবেনা এমন লোকজ বিশ্বাস প্রচলিত আছে৷

ইস্কন মন্দির - ইস্কন ভাবধারার অসাধারণ একটা জায়গা৷ অনেক ধরনের তৈজসপত্র, বিভিন্ন ইস্কন ভাবধারার মনীষীর বই ও মন্দিরের লোকেদের তৈরী প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যায়৷ রাত ৮ তার দিকে প্রার্থনা হয়৷ এখানকার মহারাজ এর তৈরী পলান্ন, সয়াবিন আর পায়েসের রান্না বিখ্যাত৷

চাসনি পীরের মাজার- মাজার এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মাজারের পুরোটা জুড়েই আসে শতশত বানর৷ পীরের সাগরেদরা বানর এর রূপ ধরে আছে এমন কথা শোনা যায়৷ বানর কে খাওয়ানোর জন্য বুট ভাজা বিক্রি হয়৷

হাসন রাজা মিউজিয়াম - মরমী সাধক হাসন রাজার সিলেটের বাড়ি বলা হয় এটাকে৷ এখন মিউজিয়াম এর রূপ দেয়া হয়েছে৷ ভিতরে হাসন রাজা সম্পর্কে অনেক মজাদার তথ্য পাওয়া যাবে৷ টিকেট ৫ টাকা৷সিলেট নগরীর প্রানকেন্দ্র জিন্দাবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে একটি যাদুঘর। এর নাম দেওয়া হয়েছে মিউজিয়াম অব রাজাস’।

টিলাগড় - সুন্দর ছায়াময় পরিবেশে আড্ডা দিতে বা হেটে বেড়াতে হলে যেতে হবে টিলাগড়৷ যাওয়ার পথে চোখে পর্বে সিলেট পলিটেকনিক, গবাদি পশু উন্নয়ন ফার্ম, ছোট বড় পাহাড় আর শেষ সীমানায় আচ্ছে গাস ফিল্ড৷ এখানে একটি ছোট চা বাগান ও আছে৷

এম সি কলেজ - টিলার উপরে বানানো বাংলাদেশের অন্যতম বড় এবং বিখ্যাত কলেজ৷ অনেক বিখ্যাত লোকজন এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন৷ চাইলে তাদের তখনকার রুম গুলো ও দেখে আসতে পারেন৷

শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয় - অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা বিশ্ববিদ্যালয়৷ এখানে গিয়ে চাইলে দেখা করতে পারেন ড: মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর সাথে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রধান আকর্ষণ এর অসাধারণ শহীদ মিনার টি৷লয় দেশের সর্বোচচ শহীদ মিনার যা পাহাড়ের উপর অবস্থিত , দুনিয়ার সবচেয়ে লম্বা পথ-আল্পনা আর ক্যাম্পাস তো বোনাস ই আশা করি ভাল লাগবে

পর্যটন পার্ক -সিলেট পর্যটন কর্পরেশন সিলেট শহরেই অবস্থিত।রিক্সা অথবা সি.এন.জি নিয়েই এখানে যেতে পারেন।এখানে আপনি পাহারের উপরের টিলা থেকে সিলেট শহর দেখতে পারবেন। পর্যটন টিলা (এয়ারপোর্ট রোড, সড়কের পাশে অনেক চা বাগান দেখা যাবে), 

মালনীচড়া-সিলেট মালনি চড়া চা বাগান দেখবেন এয়ারপোর্ট রোডের পর্যটন পার্ক দেখতে যাওয়ার পথে। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান মালনীচড়া ও লাক্কাতুড়া চা বাগান অপরূপ সাজে সজ্জিত যা আপনার চোখে ও মনে প্রশান্তি এনে দিবে । এটা সিলেট শহরের পাশেই রিকশাহ ও যেথে পারবেন । এখানে ইচ্ছে করলে পর্যটন মোটেল এ থাকতেও পারেন ।মালনীছড়া এবং লাক্ষাতুড়া চা বাগান দুইটিই সিলেট শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট হতে গাড়ীতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।

রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ - প্রতিষ্ঠানের চার পাশ ঘিরেই আছে চা বাগান৷ একটু হেটে ভিতরে গেলেই আছে ভালো কিছু ফটোগ্রাফিক স্পট আর অল্প বসতি সম্পন্ন কিছু আদিবাসী গ্রাম৷

শহরের বাইরে ঘোরার জায়গা গুলো হলো-

মাধবকুন্ড - মাধবকুন্ড ঝরনার জন্য বিখ্যাত৷ তবে ঝরনা দেখতে চাইলে শীতকালে যেতে হবে৷বর্ষার সময়ে একটু বিপদজনক হয়ে যায় বন্যা আর জোক এর কারণে৷ অবশ্য শীতকালে ঝরনার পানি কমে যায় অনেক৷ মাধবকুন্ডের মাগুরছড়াতে পরিত্যক্ত গাস ও তেল খনি আছে৷ রাবার ও লেবুর বাগানও দেখতে পাওয়া যায়৷

কদমতলি বাস স্টেশন থেকে বাস এ করে যাবেন বারৈগ্রাম বা বড়লেখা নামক স্থানে .এর পর আপনি পাবেন টেম্প বা মেক্সি নিয়ে যাবে জল্প্রপাথ

জাফলং,তামাবিল,শ্রীপুর,জৈন্তাপুর একি দিকে থাকায় আপনি একদিনে সব গুলো ঘুরে দেখতে পারেন,কিন্তু সে জন্য আপনাকে একদম ভোরে রওনা দিতে হবে এবং একটু দ্রুত দব দেখতে হবে।আপনার হাতে যদি সময় থাকে তবে সব থেকে ভালো হয় এখানে দুইদিন সময় দিলে।প্রথম দিন জাফলং ও তামাবিল এবং পরের দিন শ্রীপুর ও জৈন্তাপুর এভাবে ভাগ করে নিলে আপনি ভালো করে জায়গা গুলো দেখতে পারবেন।

জাফলং – জাফলংয়ে শীত ও বর্ষা মওসুমের সৌন্দর্যের রুপ ভিন্ন। বর্ষায় জাফলং এর রুপ লাবণ্য যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে উঠে। সচ্ছ পানিতে তাকালেই দেখা যাবে পাথর গড়াতে গড়াতে আসছে৷ ট্রলার নিয়ে একটু ভিতরের দিকে গেলে পাওয়া যাবে আরেকটা বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার৷ একই সাথে বি ডি আর এবং বি এস এফ প্রহরীরা যেভাবে ঘুরাফেরা করে তাতে হয়ত মনে হতে পারে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে কোনো উত্তেজনা বিরাজ করছেনা৷জাফলং এ আপনি দেখবেন চা বাগান ,খাসিয়া পুঞ্জি ও খাসিয়া রাজ বাড়ি এবং বল্লা ঘাট এ পাথর তুলার দৃশ্য পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি,উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। আর জাফলং গেলে সাথে এক জোড়া শুকনো কাপড় ও নিয়ে যেতে হবে কারণ ওখানকার শীতল পানিতে একটু গোসল করার ইচ্ছা দমিয়ে রাখা কষ্ট৷। এখানে আপনি কিছু পাথর এর সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারেন ,দামাদামি করে কিনলে জিতবেন ।

জাফলং সিলেট শহর থেকে ৬৬ কি.মি. দূরে অবস্থিত।বাস অথবা সি.এন.জি. অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে এখানে যেতে পারেন।সি.এন.জি. অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিয়ে গেলে আপনার যেমন যাতায়াত সুবিধা তেমনি আবার অসুবিধাও আছে।এক্ষেত্রে আপনি ঘুরার জন্য কম সময় পাবেন এবং ড্রাইভার আপনাকে যত কম দেখানোর চেষ্টা করবে।সি.এন.জি তে যে তে আসতে ভাড়া নিবে ১৪০০-১৬০০ টাকা আর মাইক্রোবাসে ২১০০-২৫০০ টাকা।আর যদি বাসে যেতে চান তাহলে সিলেটের সোবানিঘাট ও কদম তলা বাসা স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি জাফলং এর বাস পাবেন।বাস ভাড়া ৫০ টাকা।জাফলং এ বাস আপনাকে মামার বাজার নামক জায়গায় নামিয়ে দিবে সেখান থেকে মারি নদী অর্ধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।আপনি রিক্সা অথবা পায়ে হেটেই সেখানে যেতে পারেন।নদীতে চোরা বালি থাকায় এখানে খুব সাবধানে থাকতে হবে।নরম বালি দেখলে সেখানে পা না দেয়াটাই ভালো।এখানে গেলে অনেক মাঝি নৌকা করে চা বাগান ও জিরো পয়েন্টে নিয়ে যাবার জন্য ডাকবে,কিন্তু আপনার হাতে সময় থাকলে এভাবে না ঘুরে আপনি পারাপারের নৌকায় করে নদী পাড় হয়ে ওপারে চলে যান।সেখানে কিছুদূর হাটলেই রিক্সা ও ভটভটি পাবেন ঘুরার জন্য।এখান থেকে চা বাগান,খাসীয়া রাজবাড়ি ও খাসিয়া পল্লি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ১০০-১২০ টাকায় রিক্সা পেয়ে যাবেন।খাসিয়া পল্লিতে ছবি উঠানো নিষেধ থাকলেও অনেকে ছবি উঠায় একারনে মাঝে মাঝে খাসিয়াদের সাথে ঝামেলাও হয়।তাই ছবি না উঠানোই ভালো। 

এসব ঘুরে নদী পারে চলে এসে কিছু সময় ঘুরে কাটিয়ে আবার মামার বাজারে ফেরে এসে বাসে উঠতে হবে।এখান থেকে তামাবিলের দূরুত্ব ৫ কিলোমিটার।

তামাবিল - বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার যেখানে "বাংলাদেশ ০ কি: মি:" লেখা মাইলফলক আছে৷ মাইলফলক এর পাশে দাড়িয়ে দুই দেশের মাটিতে পা দিয়ে ছবি তোলার অনন্য সুযোগ থাকবে৷ এখানে কিচু চা বাগান ও আছে৷ আর,কয়লা আর পাথরের ব্যাবসার জন্য এর সব সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে এপাড়ে বাংলাদেশ আর পাশেই ভারতের মেঘালয়।ছোট পাহাড়ি রাস্তার পাশ ঘেসেই দানবের মত মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে মেঘালয় পর্বতমালা।দূরের আবছা মেঘালয় পাহাড় দেখতে দেখতে বড় কোন পাহাড়ে উঠতে ইচ্ছে করতে পারে কিন্তু তখনই খেয়াল করবেন পাশাপাশি দুটো দেশ হলেও মেঘালয়ের একটি বড় পাহাড়ও বাংলাদেশের ভাগে পড়েনি সব ভারতের।তখন কিছুটা খারাপই লাগবে এছাড়া এখানে দেখার মত আর কিছু নেই।

জৈন্তাপুর গৌর গোবিন্দ রাজ প্রাসাদ - জাফলং থেকে ফিরার পথে যাবেন জৈন্তাপুর বাজার।এ জায়গায় পাবেন, জৈন্তা রানীর বাড়ি আর দিঘি ।১৮শ শতকের জৈন্তা রাজ বংশের রাজাদের বাসভবন ছিল এই প্রাসাদ৷ জৈন্তাপুর ছিল তখন রাজধানী৷ অল্প কিছু নিদর্শন এখনো আসে

টকফল গবেষণা কেন্দ্র-
টকফল গবেষণা কেন্দ্র জৈন্তা বাজার থেকে আপনি হেটে গেলে ১০ মিনিট লাগবে।



লালাখাল - জৈন্তাপুর দেখা শেষ করে আসার সময় রাস্তায় পাবেন লালাখাল নামক স্থান। সিলেটে এখনো অনেক স্থান রয়েছে, যেগুলো এখনো ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের কাছে অজ্ঞাতই রয়ে গেছে। তার মধ্যে একটি হলো লালাখাল। স্বচ্চ নীল জল রাশি আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। বাংলাদেশের সবোর্চ্চ বৃষ্ঠিপাতের স্থান এবং রাতের সৌন্দর্যে ভরপুর এই লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। লালাখাল নদীর ব্রীজ এর নিচ এ গিয়ে দেখতে পাবেন নিল রঙের পানি ,ব্রীজ এর বামপাশে আছে নৌকা ঘাট ,এখানে আপনি পাবেন স্পীড বুট ও ছুটো নৌকা এগুলু দিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন লালাখাল যাবার পথে আপনির দুচোখ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্ত সৌন্দর্য শেষ হবে না। ৪৫ মিনিট যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। কি সুন্দর নীল, একদম নীচে দেখা যায়। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। পথে পাবেন ভারতীয় বর্ডারের জিরো পয়েন্ট, লালাখাল টি গার্ডেন।

লালাখাল যেতে হলে সিলেট শহরের সোবহানী ঘাট অথবা টিলাগড় থেকে জাফলংগামী বাসে উঠতে হবে। নামতে হবে গোয়াইনঘাটের আগে সারিঘাট নামক স্থানে। ভাড়া পরবে, সোবহানী ঘাট থেকে ৩০ টাকা এবং টিলাগড় থেকে ২৬ টাকা জনপ্রতি।

সারিঘাটে নেমে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে লালাখাল। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩০/৪০ টাকা( ওয়ান ওয়ে)। তবে, সবচেয়ে ভাল হয় ৮-১০ জনের একটা গ্রুপ নিয়ে গেলে। বড় নৌকায় সহজেই ১০/১২ জনের জায়গা হবে। এক্ষেত্রে, রাউন্ড ট্রিপে একটা নৌকায় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকাতেই সেরে ফেলা যায় আসা যাওয়ার এই ভ্রমণ। যেতে আসতে লাগবে যথাক্রমে এক-এক দুই ঘণ্টা।

সিলেট শহর হতে লালাখাল যাবার জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৫ কি.মি রাস্তা। আপনি অনেক ভাবে লালাখাল যেতে পারেন। বাস, মাইক্রো, টেম্পু যোগে আপনি যেতে পারেন। লালাখালে থাকার তেমন কোন সুবিধা নাই। সাধারনত পর্যটকরা সিলেট শহর হতে এসে আবার সিলেট শহরে হোটেলে রাত কাটায়।

বিছানাকান্দি- পান্থুমাই-সারিঘাঁটের এক পাশে লালাখাল। তার উল্টো পাশের রাস্তা চলে গেছে গোয়াইনঘাঁটের দিকে। বিছানাকান্দি দেখার পর আপনার আর জাফলং ভালো লাগবে না।বেশি স্রোতের সময় বিছানাকান্দিতে সাবধানে নামুন।

বিছানাকান্দি কীভাবে যাওয়া যায়- সিলেট শহর থেকে অটো রিকশায় প্রথমে যেতে হবে হাদারপাড়। হাদারপাড়ে যাওয়ার সহজ পথ হল শহর থেকে মালনিছড়ার পথে ওসমানী বিমান বন্দরের পেছনের ভোলাগঞ্জের সড়ক ধরে। তবে এই রাস্তার বর্তমানে বেহাল অবস্থা। পাথর বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তায় প্রচুর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ পথে সেডান কার কিংবা মাইক্রো বাস নিয়ে যাওয়া দুষ্কর।

এ পথে সবচেয়ে সহজ ও সুবিধা হল অটো রিকশা। সিলেট শহর থেকে হাদারপাড়ের যাওয়া আসার অটো রিকশা ভাড়া ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। একটি অটো রিকশায় সর্বোচ্চ পাঁচজন যাওয়া যায়।

হাদারপাড় বাজারের পোস্ট অফিস ঘাট থেকে বিছনাকান্দি যাওয়ার রিজার্ভ পর্যটক নৌকা পাওয়া যাবে। ১০ থেকে ২০ জন চলার উপযোগী একটি নৌকার ভাড়া ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা।

নৌকার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে ০১৭১২৯৭২৫৯৮।


সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে হাদারপাড় বাজার পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। জনপ্রতি ৮০ টাকা করে পড়বে। আর রিজার্ভ নিলে চারশ’ টাকায় হাদারপাড় বাজার পৌঁছে যাওয়া যাবে।সেখান থেকে সাধারণ নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ার আরও এক ঘণ্টা পরেই অপ্সরী বিছনাকান্দির দেখা মিলবে। নৌকায় জনপ্রতি ভাড়া বিশ টাকা ভাড়া। আবার রিজার্ভ নিলে পড়বে দুশ’ টাকা।

এছাড়াও জৈন্তা উপজেলার সারিঘাট থেকে অটোরিকশা ও নৌকায় বিছানাকান্দি যাওয়া যায়। তবে আম্বরখানা থেকে সড়কপথে হাদারপাড় হয়ে বিছাকান্দি যাওয়াই সবচেয়ে সহজ।

সিলেট এসে জাফলংগামী বাসে চড়ে বসুন, নেমে পড়ুন সারীঘাট। সেখান হতে টেম্পু করে গোয়াইনঘাট হয়ে বিছানাকান্দি। আপনি সারীঘাট হতে সরাসরি অটোরিকশা করেও চলে আসতে পারেন। সবচেয়ে ভালো সিলেট থেকে অটোরিকশা করে চলে আসা। দরদাম করতে পারলে ৫০০ টাকা ভাড়ায় আপনি সিলেট হতে বিছানাকান্দি চলে আসতে পারবেন

সিলেট বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি, সেটি দিয়ে চলে যেতে হবে গোয়াইনঘাট রোডে। রেন্ট–এ–কার থেকে গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা লেগুনায় করেও যেতে পারেন। শালুটিকর পার হয়ে সেতুর নিচ দিয়ে ডান দিকে ঘুরে গেলে গোয়াইনঘাটের দিকে একটাই রাস্তা। এই পথ ধরেই পৌঁছে যাবেন বঙ্গবীর পয়েন্টে। সেখান থেকে বাঁ দিকে বাঁক নিয়ে হাদার পাড়ে আসবেন। নৌকার ঘাট থেকে দুই বা তিন ঘণ্টার জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করবেন। ২০ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন বিছনাকান্দি।


পান্তুমাই-সিলেটের সীমন্তাবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউপির একটি গ্রাম পান্তুমাই। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে খড়স্রোতা পিয়াইন নদী। পাশের দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সু-উচ্চ পাহাড় যেনো পান্তুমাই গ্রামের উপর দাড়িয়ে আছে। পিয়াইন নদীর মূল জলধারা এই মেঘালয়ের ঝর্ণাগুলো থেকেই সৃষ্ট। মেঘালয় রাজ্যের ইস্ট খাসিয়া হিল জেলার পাইনেচুলা থানার অন্তগর্ত পাহাড়ী ঝর্ণা বপহিল। এই বপহিল ঝর্ণাটাই আমাদের পান্তুমাই গ্রামে থেকে দেখা যায় বলে আমরা একে বলে থাকি পান্তুমাইয়ের ঝর্ণা বা পান্তুমাই ঝর্ণা। মূলত আমরা এই ঝর্ণার পানি পাই আর সৌন্দর্য্য দেখতে পারি, ওকে হাতে ছুয়ে দেখতে হলে ভিসা পাসপোর্ট ইত্যাদি ঝামেলাটা থেকেই যায়।

সিলেট থেকে সিএনজিতে করে গোয়াইন ঘাটের হাদার পার ওখান থেকে ট্রলারে চেপে বসি।

শ্রীমঙ্গল – বাংলাদেশের চা শিল্পের রাজধানী দুটি পাতা একটি কুড়ির শ্রীমঙ্গল৷ কার্পেটের মত সাজানো চা বাগান সবদিকে৷ এখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চা বাগান সহ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট ও অনেক গুলো প্রসেসিং প্লান্ট আছে৷ চা পাতা থেকে চা প্যাকেটজাত করা পর্যন্ত পুরোটুকু দেখতে চাইলে ফ্যাক্টরী ঘুরে দেখা যায়৷ শ্রীমঙ্গলের নিলকন্ঠ কেবিন এর সাত রঙের রংধনু চা (৭০ টাকা) ও বিখ্যাত৷ লেবু ও কমলার বাগানও আছে৷ ওদিকে গেলে কেউ চিড়িয়া খানা মিস করবেন না।ক্ষিতিশ বাবুর চিড়িয়াখানা

হাম হাম-বাংলাদেশের সুন্দর জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে হাম হাম জলপ্রপাত অন্যতম। হাম হাম জলপ্রপাত মৌলভীবাজার জেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনে অবস্থিত। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে গেলে মুগ্ধ হতে হবে প্রকৃতির বৈচিত্রতা দেখে। সাথে পাবেন দু: সাহসিক যাত্রার অনন্য অনুভুতি। ২০০৯ সালে আবিষ্কৃত এই জলপ্রপাতটি ১৬০ ফুট এর মত উঁচু। হাম হাম যাওয়াটা অতি সহজ নয় । পানি, পাহাড়, ঝিরিপথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। বর্ষায় গেলে অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন কিন্ত যাওয়াটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

যেভাবে যাবেন- 
শ্রীমঙ্গল ভারী ব্যাগ-বাগেজ হোটেলে রেখে হালকা ১ টা ব্যাগ এ ১ সেট অতিরিক্ত কাপড় আর হালকা খাবার(বিস্কুট, জুস , পানি ), প্রাথমিক চিকিৎসা, মশার বা কিট এর জন্য অডমস নিয়ে নেবেন। মনে রাখবেন ওখানকার পানিতে জোক আছে।

হামহামের দিকে রওয়ানা দিতে হলে ৬ টার মধ্যে বের হতে হয় শ্রীমঙ্গল থেকে সিএনজি করে গেলাম ভানুগাছি । অইখান থেকে হামহামের জন্য মাইক্রো ভাড়া করতে হবে। পুরোরাস্তা গাড়িতে করে যাওয়া যায় না । গাড়ি চলে চাম্পারানির চা বাগান (ন্যাশনাল টি এর কারখানা পর্যন্ত)।তারপর গাইড নিয়ে হাঁটতে হয় পাহাড়ি রাস্তায় পায়ে আড়াই ঘন্টার মত । চলার পথে পড়বে প্রায় চারটা বাঁশের সাঁকো।

খুব সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে একটা জিপ ভাড়া করবেন কলাবাগান বস্তি যাওয়ার জন্য। ওখানে পৌঁছালেই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা আসবে বাঁশের লাঠি বিক্রির জন্য। ওদের কাছ থেকে হালকা কিন্তু শক্ত একটা লাঠি নিয়ে নেবেন।পথে আপনার উপকারে আসবে।এবার হাঁটার পালা। কলাবাগান বস্তি থেকে একজন গাইড নিয়ে নিতে পারেন। জিপের ড্রাইভারাও অনেক সময় গাইড এর কাজ করে, বলে দেখতে পারেন। কাদা, মাটি, পাহাড়, জঙ্গল ও ঝিরি পথ পাড়ি দিয়ে হাম হাম পৌঁছাতে ৩-৪ ঘন্টা লেগে যাবে। দু’টি পথে যাওয়া যায়। আশা করি গাইড সহজ পথে নিয়ে যাবে। পাহাড় থেকে নামার পর ঝিরি পথে পাথর ও পানির ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় সাবধানে হাঁটবেন।
দয়া করে পৌঁছানোর পর সময়টা দেখে নেবেন। ঐখানে সময় কখন কোন দিক দিয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না। ফেরার সময়টা আগেই ঠিক করে নেবেন।

লাউয়াছেড়া রেইন ফরেস্ট - শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জ রাস্তায় ৭ কিলোমিটার এগুলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।শ্রীমঙ্গল থেকে আপনি রিক্সায় বা গাড়িতে যেতে পাবেন .বাংলাদেশের অন্যতম সংরক্ষিত বন৷এখানে রয়েছে নানা প্রকার বৃরাজি। দেশের আর কোথাও একই সাথে এত বৈচিত্র্যময় বৃ দেখা যায় না। ঘন জঙ্গলের ফাকে প্রচুর বানর এবং পাখি দেখতে পাওয়া যায়৷ বনে বাঘ, অজগর, হরিন দেখতে পাওয়া যায় বলে শোনা যায়৷ টিলার উপরে কিছু রেস্টুরেন্ট আছে৷ এশিয়ার এক মাত্র ক্লোরোফর্ম গাছ এখানেই আছে যার বাকল এর গন্ধ নিলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে৷ ৫০ টাকা দিয়ে হাতির পিঠে ওঠার সুযোগ আছে৷লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেই রয়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ভেষজ বাগান আরোগ্য কুঞ্জ। মাগুর ছড়া গ্যাস কুপ পেরিয়ে প্রায় আড়াই কিঃমি পথ এগুলোই হাতের ডানদিকে চোখে পড়বে ভেষজ বাগান আরোগ্য কুঞ্জ। পার্কের ২ একর জায়গা জুড়ে বি¯তৃত এ ভেষজ বাগানে রয়েছে ৭৯ প্রজাতির ঔষধী গাছ।

বাংলাদেশ চা গবেষনা ইনস্টিটিউট
-----------------------------------------
চারদিকে বিচিত্র সব ফুলের আয়োজন। সারিবদ্ধ পাম, ইউক্যালিপটাস, একাশিয়া ইত্যাদি বৃরাজির শোভা। লেকের জলে ফুটন্ত জলপদ্ম। তারই মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)। প্রকৃতি আর মানুষের হাতের ছোঁয়া গড়ে ওঠা এলাকাটির সৌন্দর্য্য নিঃসন্দেহে যে কাউকে মুগ্ধ করবে। চা গবেষনা ইনস্টিটিউট ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি চা কারখানা। কর্তৃপরে অনুমতি নিয়ে বিজ্ঞানাগার ও চা কারখানায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ দেখার সুযোগ রয়েছে।

নীলকন্ঠ চা কেবিনের ৮ রঙা চা
রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বিস্ময়করতো বটেই। এক কাপে ৮ রঙা চা! এটি উদ্ভাবন করেছেন রমেশ রাম গৌড়।শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট রোড ধরে এগিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রাস্তায় যেতে বাম দিকে চেখে পড়বে বিজিবি’র ১৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর এলাকায় মিনি পার্কের আদলে গড়ে উঠা ‘নীলকন্ঠ চা কেবিন। এখানে পাবেন ১০ লেয়ারের চা। প্রতি কাপের দাম পড়বে ৩ টাকা থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত্ ।একই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে ফুল ছড়া চা বাগান ঘেষে রমেশের আরেকটি চা দোকান রয়েছে। মনিপুরী পাড়ায় প্রবেশ পথে নীলকণ্ঠ চা কেবিনে একই ধরনের চা পাওয়া যায় ।পোরের টা তে যাবার চেষ্টা করুন চা বাগানের মাঝে খুব সুন্দর পরিবেশ। 

ডিনস্টন সিমেট্রি
-------------------
শতবর্ষের স্মৃতিবিজড়িত ডিনস্টন সিমেট্রি। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ১৫কিলোমিটার দূরে ডিনস্টন চা বাগানে এর অবস্থান। পাহাড়টিলায় ঘেরা চিরসবুজ চা বাগানের ভেতর সুনসান নিরবতার মাঝে ডিনস্টন সিমেট্রিতে ঘুমিয়ে আছেন ৪৬জন বিদেশী নাগরিক।

ভাড়াউড়া লেক
---------------
চারদিকে চা বাগান মাঝখানে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে একটি লেক। লেকে রয়েছে জলপদ্মের মেলা।দেখবেন শাপলা ফুল পরিপূর্ণ লেকটিতে হরেক রকম পাখির সমাহার। লেকের শাপলা ফুলগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে সবুজের মধ্যে লালের ছোঁয়া। তবে এ লেকে যেতে হলে পাহাড়ের গা বেয়ে একটু হেঁটে যেতে হবে। হেঁটে চলার পথটি এতোই সুন্দর যে, হাঁটার কান্তি আপনিই ভুলে যাবেন।

ওফিং হিল
--------------
চমৎকার একটি জায়গা অফিং হিল। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রথমে কালিঘাট চা বাগানে পৌঁছান। সেখানে থেকে হাতের বাম দিকে ইটা বিছানো রাস্তায় এগিয়ে যান। চা বাগান আর রাবার বাগানের মাঝ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ২০ মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন হুসনাবাদ চা বাগান। ইচ্ছে করলে গাড়িও নিতে পাবেন, সেখান থেকে হেঁটে আগর বাগানের দিকে এগিয়ে যান আগরের বাগান পেরুলেই দেখতে পাবেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। মনে হবে যেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছে গেছেন। আর একটু এগুলোই পাহাড়ের ভিতরে পাবেন একটি লেক। শাপলা, জলপদ্মে ভরা লেকটির এক পাশ থেকে অপর পাশে দেখবেন শত শত পাকৌড়ি আর সরালী ভাসছে। লেকটি এঁকে-বেঁকে অনেক দুর চলে গেছে। একটু দুর বিধায় এ লেকে পর্যটকদের ভীড় হয় কম। লেকটির কাছে গেলে মনে হবে এটিকে যেন আপনিই আবিষ্কার করেছেন। এখানে আপনা আপনিই কেটে যাবে বেশ কিছুটা সময়।

যজ্ঞ কুন্ডের ঝর্ণা
--------------------
শ্রীমঙ্গলে এসে শুধু সবুজের ছোঁয়া নিবেন তাতো হয়না একটু পানির ছলছল শব্দ শোনাওতো দরকার। তাই চলে যান শহরের কাছাকাছি জাগছড়া চা বাগানের ১৪নং সেকশনে যজ্ঞ কুন্ডের ধারায়। সেখানে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য সমৃদ্ধ শ্রীমঙ্গলের একমাত্র ঝর্ণা। যারা এ ঝর্ণাকে প্রথম দেখবেন তারা অবশ্যই বিস্মিত হবেন। এটিও অপরূপ একটি সৃষ্টি। ঝর্ণাটি দেখতে আপনি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মৌলভীবাজার রোড হয়ে কাকিয়াবাজার নেমে ডান দিকে জাগছড়া চা বাগানে যাবেন অথবা শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ভাড়াউড়া ও সোনাছড়া চা বাগান হয়ে মেটো রাস্তায় জাগছড়া চা বাগানে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করে আপনি চলে যাবেন জাগছড়ার ১৪নং সেকশনে। সেখানে চোখে পড়বে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ডান পাশ দিয়ে ছড়ার পাড় ধরে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই শোনতে পাবেন শা শা শব্দ। নেমে পড়বেন পাহাড়ী ছড়ায় দেখবেন কোন যাদুকর মাটিতে অপরূপ কারুকাজ করে পানি প্রবাহের পথ করে দিয়েছেন।

নির্মাই শিববাড়ী
-----------------
শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী নির্মাই শিববাড়ী ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান। এখানে শিব মন্দিরের পাশেই রয়েছে ৯ একর জায়গা জুড়ে বিশাল একটি দিঘী। দিঘীর চারপাশে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃসারি। এই দিঘীর পাড়ে বৃসারির নিচে বসে আড্ডা কিংবা গল্প করেই আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন অনেকটা সময়। নির্মাই শিববাড়ীর আশেপাশের প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে আপনি জেনে নিতে পারেন এই মন্দিরের ইতিহাস।

মাধবপুর লেক - শ্রীমঙ্গল এর কমলগঞ্জ এ আছে এই লেক৷ সবসময় শতশত পদ্ম আর শাপলা ফুটে থাকে৷ এখানে একটা পার্ক আর পিকনিক স্পট আছে৷ পাশের টিলার উপর থেকে শ্রীমঙ্গল এর চা বাগান এর বিস্তৃতিটা ভালো মত বোঝা যায়৷ এখানকার মনিপুরি পাড়াতে ঘুরে আসা যায়৷ তাদের শিল্পকলার সাথেও পরিচিত হওয়া যায়৷ চা পাতা দিয়ে তৈরী আলাদা আর মজাদার বিভিন খাবার পাওয়া যায়৷মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত মাধবকুন্ড।

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর সমাধি - মাধবপুর লেক থেকে বর্ডার এর দিকে গেলে বি ডি আর চেক পোস্ট আছে৷ ওখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর সমাধি আছে৷ সীমানা জটিলতায় ভারতের অংশে তার কবর টা পড়ে গেলে আবার সেখান থেকে এনে এই চেকপোস্ট এর এখানে সৌধ তৈরী করা হয়৷ একটু সামনে গেলেই দেখা যাবে চা গাছ এর চারা তৈরী হচ্ছে আর ছোট একটা খাল দিয়ে ভাগ করা বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত৷

আদমপুর বন
দুই টিলার মাঝখান দিয়ে চলে গেছে পায়ে হাঁটাপথ। এই জঙ্গলের সৌন্দর্য দেখতে চাইলে যেতে হবে কমলগঞ্জ।সিলেট বন বিভাগের অধীন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এ বনেরই একটি বিটের নাম আদমপুর। সীমান্ত ঘেঁষা এ জঙ্গলের পরেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য।স্থানীয়রা এ বনকে আদমপুর নামে কমই চেনেন। তাদের কাছে এটি কাউয়ার গলা বন নামেই বেশি পরিচিত। রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চারটি বিটের মধ্যে আদমপুরই সবচেয়ে বড়। আয়তনে ১৩ হাজার ৮০ একর। বনটি চলে গেছে একেবারে ভারত সিমান্ত পর্যন্ত।বেশিরভাগই উঁচুনিচু টিলা জুড়ে আদমপুরের জঙ্গল। বড় বড় গাছের নিচ দিয়ে চলে গেছে হাঁটাপথ। কোথাও কোথাও দুই টিলার মাঝখান থেকেই চলে গেছে পথ। চলতে চলতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বানর। আরও আছে মুখপোড়া হনুমান, চশমা হনুমান, উল্লুক, মেছো বাঘ, মায়া হরিণ ইত্যাদি।

এ বনে উল্লুক দেখা যায় কদাচিৎ। তবে গভীর বনে এদের চেঁচামেচি শোনা যায়। আর একটু গভীর বনে গেলে চশমা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানদের দেখা যায়। এছাড়া এ বনে আছে ভালুক। এদেরও দেখা যায় না বললেই চলে। তবে মাঝে মধ্যে এদের আক্রমণের খবর পাওয়া যায়। এছাড়া নানারকম পাখিও দেখা যায় এ বনে।

আদমপুর বনের ভেতরেই আছে বড় বড় বাঁশ মহাল। মুলি, মিটিঙ্গা, ডলু, রূপাই জাতের বাঁশ এ বনে বেশি। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ছড়াপথে এ বনের বাঁশ নামানো হয়। আদমপুর বন বেশ নির্জন। মানুষের আনাগোনাও খুবই কম। বনের পাশেই আছে খাসিয়াপুঞ্জি। এখানকার মানুষেরা দৈনন্দিন কাজে বনে যায়। জঙ্গল ভ্রমণের ফাঁকে ঢুঁ মারতে পারেন এই জায়গায়। এছাড়া আদমপুর বনের আগে সড়কের দুইপাশে আছে অনেক আগর বাগান।

প্রথমে যেতে হবে শ্রীমঙ্গল কিংবা কমলগঞ্জ। কমলগঞ্জ থেকে দশ কিলোমিটার দূরের এ বনে যাওয়া যায় অটোরিকশায়। চালককে বলতে হবে কাউয়ার গলা বিট অফিসের কথা। নিজস্ব বাহন নিয়ে গেলে জঙ্গলের একেবারে মুখে যাওয়া যাবে। শুকনা মৌসুমে গাড়ি নিয়ে বনের বাংলোর সামনে যাওয়া যায়।

ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাস যায় শ্রীমঙ্গল। ভাড়া সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা।এছাড়া ঢাকার কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস। দুপুর ২টায় প্রতিদিন ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ১০টায় ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস। ভাড়া ১১৫ থেকে ৭৬৫ টাকা।পারাবত ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ভানুগাছ স্টেশনে থামে। কমলগঞ্জের রেল স্টেশনটিই ভানুগাছে। তবে অন্য কোনো ট্রেনে গেলে নামতে হবে শ্রীমঙ্গল। 



ভোলাগঞ্জের- সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলো মিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত সরাসরি কোন যানবাহন সার্ভিস নেই। আগন্তুকরা সিলেট থেকে টুকেরবাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহি বাস অথবা ফোরস্ট্রোকযোগে যাতায়াত করেন। টুকের বাজার থেকে ভোলাগঞ্জ পর্যন্ত রয়েছে বেবিটেক্সি সার্ভিস।
ভারতের আসাম প্রদেশের রাজধানী শিলংয়ে এক সময় লোকজন এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতো। কালের পরিক্রমায় এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রজ্জুপথ। নাম ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে। দেশের সর্ববৃহৎ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীর অবস্থানও এ এলাকায়। রোপওয়ে, পাথর কোয়ারী আর পাহাড়ী মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনের জন্য এখানে প্রতিদিনই আগমন ঘটে পর্যটকদের।

রাতারগুল- রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টটি ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। কেননা, ম্যানগ্রোভ বনের সাথে বেশ মিল আছে এ বনের। যদিও সমুদ্রের ধারে কাছে এটা অবস্থিত নয়, তবুও মিঠাপানির সংস্পর্শে বেঁচে থাকতে এ বনের গাছগুলো নিজেদের এডাপ্টেড করে নিয়েছে। 

সর্তকতাঃ
এই বন বছরের ৫-৬ মাস সম্পুর্ণ পানির নিচে থাকে। বাকি ক’মাস পানিবিহীন থাকে। এজন্য এই বন ভ্রমনের ক্ষেত্রে সময়টা একটা বড় ফ্যাক্টর।বর্ষায় রাতারগুল দেখতে সুন্দর। কিন্তু এ সময় জোঁক আর সাপের প্রকোপ বেশি। তাই সতর্ক থাকতে হবে। যাঁরা সাঁতার জানেন না, সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখতে পারেন। বনে ঢুকে পানিতে হাত না দেওয়াই ভালো।কারন বিষাক্ত সব সাঁপ এখানে আপন মনে ঘুরে বেড়ায়!

রাতারগুল যাওয়া যায় বেশ কয়েকটি পথ 

সিলেট শহর থেকে কয়েকটি পথে আসা যায় রাতারগুল। সবচেয়ে সহজ পথটি হল— শহর থেকে মালনিছড়ার পথে ওসমানী বিমান বন্দরের পেছনের সড়ক ধরে সোজা সাহেব বাজার হয়ে রামনগর চৌমুহনী। সেখান থেকে হাতের বাঁয়ে এক কিলোমিটার গেলেই রাতারগুল।সারাদিন ভ্রমণের জন্য জায়গাটিতে পাওয়া যাবে ছোট ছোট খোলা নৌকা। এক বেলা জঙ্গলে বেড়ানোর জন্য প্রতিটি নৌকার ভাড়া ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।সিলেটের আম্বরখানা, শাহজালাল মাজার থেকে সাহেব বাজার কিংবা চৌমুহনী লোকাল অটো রিকশা যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। রিজার্ভ নিয়ে গেলে আড়াইশ থেকে ৩শ’ টাকা।

সিলেট শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে অবস্থিত সিলেট-জাফলংয়ের গাড়িতে উঠে নেমে যাবেন সারিঘাট। এখান থেকে টেম্পোতে করে গয়াইনঘাট বাজার। বাজারের পাশেই নৌঘাট। এখান থেকে রাতারগুল যাওয়া-আসার জন্য নৌকা রিজার্ভ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, এই নৌকায় করে কিন্তু রাতারগুল বনের ভেতরে ঢোকা যাবে না। বনে ঢুকতে হবে ডিঙি নৌকায় চেপে। আবার সিলেটের আম্বরখানা মোড় থেকেও সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলে যেতে পারেন মোটরঘাট / শ্রীঙ্গী ব্রিজ। যেতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট, ৪ জন রিজার্ভ ভাড়া পড়বে ৬০০/৭০০ টাকা। সেখানকার নৌঘাট থেকে নৌকা রিজার্ভ করে রাতারগুল যেতে পারবেন, ২/৩ ঘন্টার জন্য ভাড়া পড়বে ৩০০/৪০০ টাকা।বনে ঢোকার আগে অবশ্যই রাতারগুল বন বিট অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।

হাকালুকি হাওর, ‘মিনি কক্সবাজার’
সিলেটে পর্যটন সম্ভাবনার স্থান ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তীরবর্তী ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট। এখান থেকে সাগরের ন্যায় বিস্তৃত হাকালুকি হাওরকে এক পলকে দেখা যায়। বর্ষায় হাকালুকির উত্তাল ঢেউয়ের তরঙ্গের গর্জণ যেন আরেক সমুদ্র। সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশ থেকে এখানে ছুঁটে আসেন পর্যটকরা। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ছয় উপজেলা জুড়ে হাকালুকি হাওরের অবস্থান। প্রায় ১৮ হাজার ১শ’ ১৫ হেক্টর গড় আয়তনের মধ্যে ৩৮ ভাগ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায়, দুই ভাগ জুড়িতে, ৩০ ভাগ কুলাউড়ায়, ১৫ ভাগ ফেঞ্চুগঞ্জে, ১০ ভাগ গোলাপগঞ্জে ও ৫ ভাগ বিয়ানীবাজার উপজেলার অন্তর্গত।হাকালুকির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ অংশে অবস্থান করতে হয়। এই উপজেলার ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্ট থেকে উপভোগ করা যায় হাকালুকির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে প্রতিদিন ভীড় জমান পর্যটকরা। এক-দুশ’ টাকায় স্থানীয়রা ছোট ট্রলারে করে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখান হাকালুকির তীরবর্তী এলাকা। 

সিলেট কোর্ট পয়েন্ট থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের দূরত্ব মাত্র ২৩ কিলোমিটার। যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া নেয় ২৫ টাকা, সিএনজি অটোরিকশায় ৩০ টাকা। আর ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ১শ’ টাকা রিজার্ভ ভাড়ায় যেতে পারেন ঘিলাছড়া জিরো পয়েন্টে। যেখানে মিশে গেছে হাকালুকি হাওরের পশ্চিম তীরের গন্তব্য। 

যাবার সবচে ভালো উপায় হলো রাত ৯.৫০ এ সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া উপবন এক্সপ্রেস ওঠে যাওয়া। নামতে হবে মাইজগাও ষ্টেশন এ। এটি সিলেটের ঠিক আগের ষ্টেশনটি। মাইজগাও থেকে দুটি উপায়ে যাওয়া যায়-ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার হয়ে : মাইজগাও নামার পর গাছ পালা ঘেরা একটা রাস্তা ধরে প্রায় ১ কি:মি: হাটলেই পৌছে যাবেন ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার। সকালবেলা হাটতে ভালোই লাগবে। আবার একটু অপেক্ষা করলে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা পাবেন। তাতে করে ১০ মিনিটে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার।বাজারে নেমেই আল মুমিন রেষ্টুরেন্ট এ বসে যাবেন। এর ২ এবং ৩ তলায় সুন্দর দুটি টয়লেট রয়েছে। হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা করে সামনের নৌকাঘাটে চলে আসুন। এখান থেকে নৌকা দরদাম করে উঠে পড়ুন সারাদিনের জন্য। বড় গ্রুপ হলে (১০/১৫ জন) বড় ছই ওয়ালা ট্রলার দিন। দিনপ্রতি ভাড়া নিতে পারে ৩-৪ হাজার টাকা (অবশ্যই দামাদামি করবেন)। কিছু খাবার এবং পানি কিনে নিন কারন হাওড় ও কোন দোকানপাঠ পাবেন না। এবার নৌকায় উঠে কুশিয়ারা নদী পাড়ি দিয়ে হাওড়ে ঘুরে বেড়ান। কুশিয়ারা পারি দেত প্রায় ৪০ মিনিট লাগবে ।গিলাছড়া বাজার হয়ে : কুশিয়ারা নদীর ৪০ মিনিট সেভ করতে মাইজগাও থেকে সরাসারি ব্যাটারী রিক্সা নিয়ে চলে আসতে পারেন গিলাছড়া বাজারে। এখান থেকেই হাওড় শুরু। তবে সমস্যা হলো এখানে বড় বোট পাওয়া যায়না। বোট আনতে হবে সেই ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার থেকেই। এখানকার লোকজন খুব অতিথিপরায়ন। তারা আপনাকে নিজেদের বাসায়ে নিয়ে যাবে এবং টয়লেট ইউজ করতে দেবে।

কোথায় ঘুরবেন : পুরো হাওড়ই দেখার মতো। সমূদ্রের মতো বিশাল ঢেউ, চারদিকে পানি আর পানি। অনেক দুরে দুরে গ্রাম। চলে যেতে পারেন এমনি কোন গ্রামে। সারা দুপুর কাটিয়ে বিকেলে ফিরে আসতে পারেন।

গ্রাম ইসলাম পুর। ইসলামপুর গ্রামটি হাওড়ের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ গ্রাম। এখানে যেতে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে প্রায় ২ ঘন্টা লাগবে। গ্রামে নেমে কোন একটি বাড়িতে গিয়ে রান্না করার অনুরোধ করতে পারেন। তারা করে দেবেন। রাতে থাকতে চাইলে তাদের বাড়িতে থাকতে পারেন। এছাড়া ইসলামপুর সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল আছে। থাকতে পারেন তার মেঝেতেও। আর নৌকার ছাদে থাকলেতো কথাই নেই। 

কিছু প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর : 
- লিটন : ০১৭১-০৯৯৪০৯৯ ছেলেটি সিলেট অঞ্চলে গাইডের কাজ করে। ওকে আগে বলে রাখলে বোট ঠিক করে রাখবে। খরচ আর কিছু টাকা দিলেই হবে। প্রয়োজনে পুরো ট্যুর এ সময় দেবে লিটন।
- জালাল উদ্দীন স্যার : ০১৭২-৪০১১১২৫ উনি ইসলামপুর স্কুলের হেড মাষ্টার। ওনাকে ফোন দিলে যে কোন তথ্য বা সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সতর্কতা : হাওড় ট্রিপ এ অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সাথে নেবেন।

টাঙ্গুয়া হাওড়,সুনামগঞ্জ : টাঙ্গুয়া হাওড়ের প্রতি ট্রাভেলারদের ইদানিং আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে এ ভ্রমণ অনেক বিরম্বনা. বলে রাখা ভালো টাঙ্গুয়া গেলে ১০-১৫ জনের গ্রুপে গেলে খরচ কমে আসে।

টাঙ্গুয়া যেতে হলে সবার আগে খুব সকালে সুনামগগঞ্জ নেমে বৈঠাখালি ঘাট যেতে হবে। বৈঠাখালি যাবার জন্য টেম্পু বা ব্যটারী চালিত অটো পাবেন।অটোতে উঠে যান ৫ জন করে।জনপ্রতি নেবে ১০ টাকা করে। বৈঠাখালি ঘাটে নেমে ৩ টাকা দিয়ে নদীর ওপার যাবেন।ওপার গেলে অনেক মোটরসাইকেল পাবেন।জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে তাহিরপুর চলে যান।একটা কথা গ্রুপ বড় হলে আগে থেকে কাউকে ফোন করে লেগুনা নিয়ে আসতে বলুন।১২ জন বসতে পারবেন।ভাড়া নেবে ১২০০ টাকা।রাস্তা খুব ভালো।৩৫ কি:মি: দুরের তাহিরপুর যেতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা।

তাহিরপুর নেমে নাস্তা করে নিন এবং খাবার মতো শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে নিন।এরপর একটা নৌকা ভাড়া নিন সারাদিনের জন্য। ভাড়া পরবে ৩-৬ হাজার টাকা (সাইজ অনুযায়ী)। এরপর সারাদিন হাওড়ে ঘুরুন,গোছল করুন, বাগনি বর্ডার এবং বারিক্কা টিলা যান এবং ফিরে আসুন।এছাড়া যেতে পারেন টেকেরঘাট পরিত্যাক্ত চুনাপাথর প্রকল্পে।সবচে ভালো হয় হাওড়ে কোথাও রাত কাটান।

আমি একজনের মোবাইল নম্বর দিলাম।বেলাল নামের ছেলেটি খুব ভালো।ওকে আগে বলে রাখলে ও টাকা পাঠালে ও :
- বৈঠাখালি ঘাটে লেগুনা নিয়ে এসে আপনাদের নিয়ে যাবে।
- একটা নৌকা ঠিক করে রাথবে এবং সারাদিন আপনাদের সাথে থাকবে
- হাওড়ের মাঝে ওর বাড়িতে দুপুর/রাতের রান্নার ব্যবস্থা করবে
- রাতে ওর বাড়ির পাশে হাওড়ে নৌকায় ঘুমাবার ব্যবস্থা করবে।
সব খরচ দেবার পর ওকে কিছু টাকা বকশিশ দিলেই ও খুশী থাকবে।বেলালের ফোন নম্বর হলো : ০১৭২৩০৯১৩৫২

এবার দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড়গ্রাম বানিয়াচং দেখতে .এখানে আপনি যেথে হলে হবিগঞ্জ থেকে ৩০ মিনিট বাস ও মাক্সি দিয়ে যেতে হবে বানিয়াচং এ .বানিয়াচং বাস থেকে নেমে রিকশাহ করে এ জায়গা গুলু দেখবেন সাগর দিঘি ,কমলা রানীর দিঘি ও বানিয়াচং জমিদার বাড়ি (রূপ রাজকার পারা)সবগুলা জায়গা আপনি রিকশাহ দিয়ে দেকতে পারবেন কারণ এ এলাকায় সব লোকাল রিকশাহ ড্রাইবার .সবাই এ জায়গা গুলু চিনে .

চুনারু ঘাট এ সত্চরী উদ্যান এ গবির এ উদ্যান যেন সবুজের সমারূহ .হবিগঞ্জ তেকে মেক্সি অব বাস এ যেথে পারবেন এ জায়গায় .তারপর শেষ করতে পারেন আপনার গ্রেটার সিলেট ভ্রমন।

সিলেট শহরে থাকার আবাসিক হোটেল: 
১. হোটেল হল হোটেল  অর্কিড গার্ডেন-(০১৭১১৩৭১৯২১)-ভি আইপি রোড, পূর্ব দর্গাগেইট, সিলেট।
২. হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট): 
৩. হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): 
৫. হোটেল সুপ্রীম, জাফলং রোড, মিরাবাজার, সিলেট-৩১০০, মোবাইল: ০১৭১১১৯৭০১২, ফোন: ৮৮-০৮২১-৭২০৭৫১, ৮১৩১৬৯, ৮১৩১৭২, ৮১৩১৭৩, ৮১৩১৬৮ 

রেন্ট-এ-কার এর জন্য যোগাযোগ করুন: 
- জনাব রাজ্জাক: ০১৭১৫৬০০৫৮০ 
- জনাব সিরাজী ০১৭২৩৩৬৫৬৫৪ 
- জনাব আইয়ুব ০১৭১২৭৯৫৯৫২ 
- জনাব কবির ০১৭১২৩১৬৭৩২ 
- জনাব নেবু ০১৭১২৩২৫৮৭৬ 
- জনাব শামিম ০১৭১৪৭৭০১৫৫ 
- ০১৭১১৩৯৯৪৬৬ 
- ০১৭১১৪৭৯৫০৩
---সংগৃহীতঃ
ধন্যবাদান্তেঃ 
হোটেল  অর্কিড গার্ডেন

Wednesday, May 2, 2018

Beautiful scenery in Sylhet

Welcome to Sylhet
Each and every expanse of Bangladesh abounds in greenery, but none can compare with Sylhet. From spinning hills covered in lush green tea gardens and gleaming paddy fields to olive marshlands and reserved forests, Sylhet seems to have been blessed with every possible shade of green one can imagine.
Visit Sylhet is a platform to inspire people to explore greater Sylhet. Our purpose is to deliver growth for Sylhet by attracting visitors and building Sylhet’s reputation as a true destination.




Welcome to Sylhet

নীল রঙে রূপায়িত ``নীলাদ্রি`` । এ যেন নীলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া । হ্যা নীলাদ্রির কথা বলছি, ভাবছেন এটা আবার কি? এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা কাশ্মীর নয় আমাদের দেশেই ! কি অবাক হচ্ছেন ? ছবি দেখে কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, একে নীলাদ্রি নামেই চেনে সবাই। এর অবস্থান টেকেরঘাট, সুনামগঞ্জে। এর অপরূপ সৌন্দর্য্যে ডুব দিতে নিশ্চিন্ত মনে ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জ থেকে ।
অনেকেই সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর দেখতে যান। কিন্তুু এর আশেপাশেই অনেক সুন্দর সুন্দর নয়নাভিরাম জায়গা আছে যা যেকোন পর্যটকের মনকে মুহূর্তেই দোলা দিয়ে যেতে পারে ! এমনই একটি যায়গা টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যাক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। স্থানীয় লোকজন একে নীলাদ্রি লেক বলেই জানে । এর নামটা যেমন সুন্দর এর রূপটাও তেমনি মোহনীয় । নিজ চোখে না দেখলে হয় বিশ্বাসই করতে পারবেননা পানির রঙ এতটা নীল আর প্রকৃতির এক মায়াবী রুপ। মাঝের টিলা গুলা আর ওপাড়ের পাহাড়ের নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ এর শেষ সিমানা। বড় উচু পাহাড়টিতেই সীমানা কাটা তারের বেড়া দেওয়া আছে। এই লেকটি এক সময় চুনা পাথরের কারখানার কাচামাল চুনা পাথরের সাপ্লাই ভান্ডার ছিল যা এখন বিলীন। Collected.   



Journey of Hotel Orchid garden


About The Hotel

Hotel Orchid Garden, located East Dorgah Gate, Sylhet and Inaugurated in 27th April 2018, offers many Air condition rooms with all modern amenities of international standard. Well-furnished rooms provide private baths with hot and cold showers.24/7 high range wifi internet, Intercom.etc. It has gained international fame and popularity. Upon arrival one is immediately enveloped within the serene and comfortable settings. In addition to the reviving atmosphere, the friendly and hospitable staff will ensure your comfortable stay.

“Room was spacious and clean. Staff were very helpful, service is very good. 










Reception 

Hotel Orchid Garden has a Well decorated reception so that guest can  take relax firstly before entry the room.
















Rooms and corridors